লঞ্চ দুর্ঘটনা থেমে নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালকদের অচেতনতায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারপরেও মাঝ নদীতে থেমে নেই তাদের ভয়ঙ্কর এ প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি হাজারো যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিযোগিতায় নামে দুটি লঞ্চ। এ যেন এক মরণ খেলা।
ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পোস্তগোলা সেতুর কাছে নদীতে এম ভি ইয়াদ ও এমভি শ্রীনগর লঞ্চ দুটি কে কার আগে যাবে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে বিকট শব্দে নারী ও শিশু যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও নৌ পুলিশ দেখেও কখনও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৭টি নদীতে লঞ্চ চালকরা এ ধরনের প্রতিযোগিতা করেন বলে অনেক লঞ্চ যাত্রীরা অভিযোগ।
পিরোজপুর জেলার কাউখালী এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা জর্জ কোটের সিনিয়র আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, তিনি প্রায়ই অবসরে বাড়িতে যান। যাওয়া-আসার সময় লঞ্চে এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে লঞ্চের মাষ্টারদের অনুরোধে জানিয়েও কোনো ফল পাননি।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের সকল নদী এখন পুলিশের অধীনস্থ। তাই থানা পুলিশের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওই ধরনের চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোরশেদ তালুকদার জানান, যাত্রী ও এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ করেছে। নৌ পুলিশ সদরঘাট টার্মিনাল প্রায়ই চালদের মাইকিং করে সর্তক করলেও চালকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।
তিনি জানান, এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে গত ২৫ জানুয়ারি টার্মিনাল ট্রাফিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ লঞ্চ মালিক সমিতির যাত্রী কল্যাণ সমিতির নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনেরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যদি লঞ্চ চালকরা সতর্ক না হয় তখন নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।