করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার ১০২ জনের মৃত্যু ও ৪ হাজার ৬৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলো।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৯৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৮টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৪৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনের।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন।
নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬১৩, ময়মনসিংহে ৮৭, চট্টগ্রামে ৭৩২, রাজশাহীতে ২০৬, রংপুরে ২৪৪, খুলনায় ৩১৩, বরিশালে ১৪২, সিলেটে ১৮৮ জন রয়েছেন।
এছাড়া মৃত্যু ১১৭ জনের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ এবং ৬১ জন নারী। এদেরমধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০, চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ১১, বরিশালে ৬, সিলেটে ১০, রংপুরে ৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮১৬ জন এবং নারী ৯ হাজার ৩০ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ
গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২১ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন।
প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।