নতুন করে ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের ব্যাপারে জানিয়েছে। এ তালিকায় আছে চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান ও ১৩ ব্যক্তি। কানাডার এক ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠান।
শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ ফেনটানাইল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংশ্লিষ্ট সমস্যায় এই ওষুধ বিতর্কিত ভূমিকা রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেছেন, ফেনটানাইলের (মাদক) উৎপাদন মূলত চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
চীন ও মেক্সিকোর মাধ্যমে ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার হয় বলেও চাউর হয়েছিল। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের দাবি করেন, দুই দেশের মধ্যে এ মাদকের অবৈধ কোনো পাচার নেই।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোয় পাচার হওয়া এ মাদক মেক্সিকান মাদক চোরাকারবারিরাই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ফেনটানাইল সেবন করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়।