টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে দেশের মাটিতে হচ্ছে না কোন প্রস্তুতি ক্যাম্প। তাই দেশের বাইরেই হবে ওই আসরের প্রস্তুতি। তাই ১৩ দিন আগেই বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বেন টাইগাররা।
২ অক্টোবর করোনা পরীক্ষা করে ৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের মাস্কাটের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফ নিজ নিজ দেশ থেকে ৩ অক্টোবর ওমানে এসে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।
ক্রিকেটাররা মাস্কাট পৌঁছে ৪ অক্টোবর একদিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এরপর জৈব সুরক্ষা বলয়ে ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর আল-আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলবে দলের অনুশীলন। ৮ তারিখ স্থানীয় একটি দলের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচের পর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলতে ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে। একদিনের কোয়ারেন্টিনের পর ১১ তারিখ হবে অনুশীলন। ১২ তারিখ আবুধাবির ওভাল-২ গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
এরপর একদিন বিরতি দিয়ে ১৪ অক্টোবর আবুধাবির ওভাল-১ গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। এই দুই ম্যাচ খেলে ১৫ তারিখ ওমানে ফিরে যাবে দল। একদিন পর সেখানেই শুরু বিশ্বকাপ।
১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘বি’ তে থাকা বাংলাদেশ। ১৯ অক্টোবর একই সময়ে প্রতিপক্ষ ওমান। ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
ওমানে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব উতড়াতে পারলে ফের আরব আমিরাতে ফিরবে টিম মাহমুদউল্লাহ। সেখানে বিশ্বকাপের মূলপর্ব বা সুপার টুয়েলভে অংশ নিবেন তারা। প্রথম পর্বের পরীক্ষায় পাশ করলে দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের জায়গা হবে গ্রুপ ‘২’ তে। সেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপ থেকে আসা একটি দল।