আন্তর্জাতিক

৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীর জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের (জেসিসি) প্লেনারি হলে তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘আসিয়ান প্রেক্ষিত : প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু’ প্রতিপাদ্যে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানাকে নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান। সেখানে আসিয়ানের সভাপতি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার পর তাদের স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার স্ত্রী ইরিয়ানা জোকো উইদোদোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ফটো সেশনে অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও রয়েছেন।

আসিয়ান দেশগুলোর ১০টি সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং অংশীদার দেশের নেতারা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।

আসিয়ান মহাসচিব বলেন, আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের মতো ২৭ জন বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বহিরাগত অংশীদারদের সঙ্গে সংস্থার সহযোগিতার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর সংক্রান্ত আচরণবিধি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল (এসইএএনডব্লিওএফজেড), আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক, আসিয়ান আউটলুক ইন ইন্দো প্যাসিফিকের (এওআইপি) মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থিম এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত সমস্যার ওপর আলোকপাত করা হবে।

আসিয়ান সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১৮তম ‘ইস্ট এশিয়া সামিট (ইএএস)’-এ যোগ দেবেন। সেখানে তিনি এর সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *