হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদামের ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে হস্তান্তর করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে বিমানবন্দর থানা থেকে মামলাটি ডিবির উত্তরা বিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার সর্বশেষ তদন্তের বিষয়ে জানান, এখন পর্যন্ত কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সূত্র জানায়, স্বর্ণ চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রোববার।
বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ।
এজাহারে শনিবার দিনগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কে বা কারা গুদামের আলমারির লকার ভেঙে স্বর্ণগুলো নিয়ে গেছে।
শুল্ক বিভাগ জানায়, চুরি হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলায় ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তা গ্রহণ করে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক খোরশেদ আলমকে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রোববার রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার যার ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি স্বর্ণ আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে।
গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা ৫৫ কেজি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে; যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ কোটি টাকার বেশি।
সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত স্বর্ণের হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।