দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ফের কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সাত সপ্তাহ পর গত সোমবার দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা সাতশ ছাড়ায়, সেদিন শনাক্ত হয় ৭১৮ জন রোগী। এরপর মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩৭ জনে। বুধবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৬৬৫ জন হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আরও কমে ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৯ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৬২ জনে।
২৪ ঘণ্টায় ৩৫৪ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০১ জন।
গত একদিনে যে ৬৬৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের ৫২১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। গত একদিনে দেশের সবকটি বিভাগের ২৮টি জেলায় করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তার ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। তাদের দুজনের বয়সই ছিল সত্তর বছরের বেশি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে।