রাজনীতি

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে নালিশ পার্টি গুলশান-বারিধারায় যায়, নালিশ জানাতে। আর যাদের কাছে নালিশ করে, তাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই পৃথিবীর কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়? একটা দেশ দেখান। বাংলাদেশে কেন হবে? তত্ত্বাবধায়কের পচা গলিত লাশ মিউজিয়ামে পাঠিয়েছি, সেটি আবার কেন টেনে নিয়ে আসছেন? যারা তত্ত্বাবধায়কের নালিশ শুনেন তারা জানেন না, ইদানীং যত নির্বাচন হয়েছে, কোথায় তত্ত্বাবধায়ক?

সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা এসব কথা (নালিশ) শুনেন, তাদের বলি গণতন্ত্রের গল্প শুনুন, বলুন। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন? নিজেদের দেশের আয়নায়, নিজেদের গণতন্ত্রের চেহারা দেখুন। তার আগে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করতে আসবেন না। আমরা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত এ কথা বলব না। আমরা ইম্প্রুভ করছি, সামনের দিকে আরও ইম্প্রুভ করব। আমাদের বিষয় নিয়ে নাক গলানোর কোনো প্রয়োজন মনে করছি না। এসব না করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামান। যুদ্ধ করছে বড় দেশগুলো, আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের মতো ছোট দেশগুলোকে।

তিনি বলেন, দেশে ১৪ মাস পর যে নির্বাচন, সে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক চক্রান্ত চলছে। উসকানিমূলক তৎপরতা চলছে। এ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের দিনগুলো স্পর্শকাতর। এখানে দুর্বৃত্তের দল ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাড়েও দোষ চাপায়। যেটা আমরা অনেকবার দেখেছি। কাজেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দুর্গা দেবীর কাছে আমাদের কামনা থাকবে, এই অপশক্তির বিনাশ হোক, সাম্প্রদায়িকতার বিনাশ হোক, সহিংসতার বিনাশ হোক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ১৩ বছরের শাসনামলে মাত্র একবার কয়েক জায়গায় কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ১২টি পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশে ৩২-৩৪ হাজার পূজামণ্ডপ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও ঘুম নেই, তারা সতর্ক অবস্থায় আছে।’

তিনি বলেন, পূজামণ্ডপে আপনারা বিরোধীদের পাবেন না। তারা কান পেতে আছে, কখন গত বছরের মতো একটি ঘটনা ঘটে। আর তার নাকি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছে। কিন্তু এতে রূপও নেই, রেখাও নেই। আন্দোলনের রূপরেখা খালি হচ্ছে, কী হচ্ছে? কবে হচ্ছে? কেউই জানে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *