যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। মঙ্গলবার তিনি রাজা চার্লসের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পরই তার পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন নয়ত বরখাস্ত হয়েছেন।
তবে কেউ কেউ পদে রয়েও গেছেন। তেমনই একজন হচ্ছেন জেরেমি হান্ট। লিজ ট্রাসের আমলে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়াটেং এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন হান্ট। সুনাকের মন্ত্রিসভাতেও তিনি অর্থমন্ত্রী হয়েই থেকে যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদেও থেকে যাচ্ছেন জেমস ক্লেভারলি। আর ডমিনিক রাব নিয়োগ পেয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রী পদে। সুয়েলা ব্রাভারম্যান সুনাকের মন্ত্রীসভাতেও হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক সপ্তাহ আগেই ট্রাসের আমলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ব্রাভারম্যান। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন গ্রান্ট শ্যাপস। এবার শ্যাপস হচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। জ্যাকব রিস-মগের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।
আর টোরি দলের নেতা নির্বাচনে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি ছিলেন, সেই পেনি মর্ডান্ট হাউজ অব কমন্সের নেতা হিসাবেই থাকছেন। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন স্টিভ বার্কলে। টেরেজে কফির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। আর কফি এখন হচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী।
আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে থেকে যাচ্ছেন বেন ওয়ালেসই। সুনাকের মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমলেও ছিলেন।
ডমিনিক রাব, জেমস ক্লেভারলি, গ্র্যান্ট শ্যাপস, বেন ওয়ালেস, স্টিভ বার্কলে, টেরেজা কফি- সবাই জনসনের আমলে ছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তাই সুনাকের এই নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিরোধীদল লেবার পার্টি বলেছে, বরিস জনসন হয়ত প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফেরেননি, কিন্তু তার মন্ত্রিসভা ফিরে এসেছে। এখানে সব জনসন মন্ত্রিসভারই পুরোনো মুখ।