একের পর এক হেলিকপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘন, মর্টারশেল নিক্ষেপসহ সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকলের ব্যত্যয় না ঘটানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রোববার টেকনাফে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকে বিজিপি দুঃখ প্রকাশ করে।
শাহপরীর দ্বীপ বিওপির পাশে সাওদার্ন পয়েন্টে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে আট সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং বিজিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১নং বিজিপির ব্রাঞ্চ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।
বিকালে টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাড়াও অবৈধভাবে মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধ সম্পর্কে পতাকা বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তিনি জানান, সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জের ধরে যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলা ফেলা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে বিজিপিকে জানানো হয়েছে। এছাড়া বিজিবি আশা করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট শিগগিরই সমাধান হবে এবং পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সীমান্তে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য বিজিপির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, সকালে দুই স্পিডবোটযোগে বিজিপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট পৌঁছলে টেকনাফ বিজিবি সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান। এরপর গাড়িযোগে তারা সাইদার্ন পয়েন্টে পৌঁছান। বৈঠক শেষে বেলা ৩টার দিকে তারা মিয়ানমারের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।