রাজনীতি

প্রয়োজনে জেলে যাব তবু দেশ ছেড়ে পালাব না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজনে জেলে যাব তবু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাব না। পালানোর ইতিহাস তো রয়েছে বিএনপি নেতাদের।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পালানোর অভ্যাস তো বিএনপির, আমাদের কেউ পালিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবিলা করেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরব। আমাদের জন্ম এই দেশে, আমরা এই দেশেই মরব।

তিনি বলেন, মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করব না বলে, দেশ থেকে সুদূর লন্ডনে পালিয়ে গেছে আপনাদের নেতা, আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পালানোর ইতিহাস তো আপনাদের, আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করব। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আমাদের আদর্শ, এজেন্ডা নিয়ে, কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাব।

পরিবহন মালিকরা আগুন সন্ত্রাসের ভয়ে বাস বন্ধ করলে আওয়ামী লীগ সরকারের কী করার আছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মালিকরা বাস বন্ধ করে দিয়েছেন, সেখানে আমাদের কী করার আছে? ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি সারা দেশে যে আগুন সন্ত্রাস করেছে, সে জন্য মালিকরা বাস বন্ধ রেখেছেন, এখানে আমাদের কী করার আছে। আমরা তো আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না।

উৎপাদন বাড়ানোর বিপ্লব ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের এখন যে অবস্থা আমাদের এখন পথের মানুষের কথা ভাবতে হবে, বিপ্লব আমরা করব, কিন্তু এখন মানুষ বাঁচাতে হবে। সংকট থেকে পরিত্রাণ করতে হবে, সংকট উত্তরণই এখন প্রধান কাজ। মানুষ কষ্টে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত কষ্টে আছে। সারা দুনিয়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, শুধু বাংলাদেশে নয়।

তিনি আরও বলেন, এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য আজকে আমাদের নেত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এই বাস্তবতায় আমাদের কথা কম, কাজ বেশি করতে হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে এটাই বিপ্লব, এখন উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। মাছ ভাতটা থাকলেই তো হলো। সেটা আমাদের সার্ভাইবালেরর জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই বিপ্লবটাই এখন করতে হবে। সেটা সবারই দায়িত্ব আছে, সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইইর ইতিহাসের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান, বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং থাইল্যান্ডের এআইটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. জয়শ্রী রায়।

এ পর্যন্ত ৬৪৮টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন।

অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *