প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিন উপজেলা পর্যায়ে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ হবে। দুই ঘণ্টার এ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
এর আগে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল থেকে প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসগুলোকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নে প্রতিদিনের উত্তরপত্র প্রতিদিন মূল্যায়ন করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে হবে। এরপর ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ফল প্রকাশ করতে হবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে প্রস্তুতকৃত ডিআর ফরম ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিস সংগ্রহ করবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় ডিআর পাঠাতে হবে। জেলা থেকে অবশ্যিকভাবে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিআর পাঠাতে হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র স্কুলে পাঠাবে। স্কুল থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) এক কর্মকর্তা জানান, সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তারা তৈরি করে দিতেন, পাশাপাশি সিলেবাসও তারা করতেন। কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। ফলে কয়টি বিষয়ে বা কত নাম্বারে পরীক্ষা হবে তা তারা বলতে পারছেন না।
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেওয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়।
সর্বশেষ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালে। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।