বিশ্বের প্রথম ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ হিসাবে স্বীকৃতি পেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন।
এ উপাধি অর্জনের কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক-১. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার উন্নতি। ২. দেশের সব টাইপ-১ ডায়াবেটিস শিশুকে বিনামূল্যে জীবন রক্ষাকারী ইনসুলিন প্রদান, যা কিনা বাংলাদেশের মতো মধ্যমআয়ের দেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, এটা রুগ্ণ শিশুদের প্রতি তার মমতার বহিঃপ্রকাশ।
৩. সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা প্রদান এবং বিনামূল্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ প্রদানের ব্যবস্থা। ৪. ওষুধের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। ৫. কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং এনসিডি কর্নারে প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা। বাংলাদেশ গত দুই দশকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারত্বমূলক একটি কার্যক্রম।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণায় প্রবর্তন আনেন, যা আজ ১৩ হাজার ৫ শতাধিক কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাণকেন্দ্র। ৬. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ডায়াবেটিস সেবার সুযোগ তৈরির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলেছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে। ৭. ডায়াবেটিস গবেষণায় অর্থায়ন, প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদান। ৮. দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজে পর্যায়ক্রমে ডায়াবেটিস সেবার মান উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল তৈরির জন্য হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ (এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগ) প্রতিষ্ঠা।
স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার এবং ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিসে’র স্বীকৃতি পেলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পর্তুগালের লিসবন শহরে আইডিএফ ২০২২-এর আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত। এ সম্মাননা প্রত্যক্ষ করার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব। পুরো অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক ভিনদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মুখে একটি নামই বারবার উচ্চারিত হচ্ছিল-বাংলাদেশ…বাংলাদেশ…বাংলাদেশ!
অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ : বিভাগীয় প্রধান, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল