বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশকে মুক্ত করতে জনগণ দায়িত্ব নিয়েছে, রাস্তায় নেমেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পেছনে যতই বিদেশি শক্তি থাকুক টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মামলা ও আদালতের চিত্র তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের এক আদালত থেকে অন্য আদালতে প্রতিনিয়ত ছুটতে হয়। নিæ আদালতে প্রতিদিন ছোটখাটো সমাবেশ হয়ে যায়। হাইকোর্টের বারান্দায় জায়গা হয় না। তিনি বলেন, এ সরকার সবকিছু করায়ত্ত করেছে। সরকার যা বলে আদালতও তাই করেন। তারা (আদালত) নিজস্ব বিচেনায় বিচার করতে ভয় পান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি নয়, আমরা তাদের মুক্ত করব। অবিচারের শিকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অবিচারের মাধ্যমে তারা নির্যাতিত হচ্ছেন। নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছেন, দেশের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হলো লুটেরা, ফ্যাসিবাদী ও জনগণের পকেটমারের সরকার। জনগণের পকেট যদি না-ই মারত তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কিভাবে পাচার হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও হয়ে যায়, করোনাভাইরাসকালে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হয়।
গয়েশ্বর বলেন, অর্থনীতি একেবারে ফোকলা। অর্থনীতি বলতে একটাই আছে- দুর্নীতি। রাজকোষ খালি, বেতন দেওয়ার টাকাও থাকবে না। এ পর্যন্ত ১৭টি প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। অর্থ জোগান দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।