সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
মিয়ানমারে জারি থাকা জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
বুধবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে নেতাদের এক বৈঠকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তিতে এদিন বিক্ষোভকারীরা নীরব ধর্মঘট পালন করেছে।
জান্তা নেতা মিন অং হ্লায়িং মঙ্গলবার সেনা-সমর্থিত ন্যাশনাল ডিফেন্স এন্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) এক বৈঠকে এও বলেছেন যে, জনগণের ইচ্ছানুসারে বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা উচিত।
তবে তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও দিনক্ষণ জানাননি। জরুরি অবস্থা জারি থাকার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায় না।
মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে এমআরটিভি-তে সম্প্রচারিত বৈঠকে বলেছেন, “যদিও সংবিধানের ৪২৫ ধারা অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা কেবল দুইবার মঞ্জুর করা যায়, কিন্তু বর্তমানে অন্যরকম পরিবেশ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে জরুরি অবস্থা আরও ছয়মাসের জন্য বাড়ানো যায়।”
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক জান্তা সরকার। এবছর জানুয়ারিতেই জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার কথা ছিল। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, এরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নিয়ম।
সামরিক জান্তা সরকার এর আগে এবছর অগাস্টে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর শর্তও বেঁধে দেয় তারা। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি।
দুবছর আগে মিানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিশৃঙ্খলা চলছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়েছে।