আত্মসমর্পণের আগে গুরুদ্বারে বসে ভাষণ দেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। জ্বালাময়ী বক্তৃতার পর নিজেই ধরা দেন পুলিশের কাছে। তার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেফতারের আগে পুলিশকে অমৃতপাল বলেছেন, ‘এখানেই শেষ নয়।’
ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, রোববার ভোরে পাঞ্জাবের মোগা জেলার রোডে গ্রামের একটি গুরুদ্বারের সামনে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অমৃতপাল। এর আগে শনিবার রাতেই মোগায় চলে এসেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অমৃতপাল নিজের তার আসার খবর পুলিশকে জানান।
খবরে বলা হয়েছে, এর পর রোববার ভোরে গুরুদ্বারে হাজির হন পলাতক নেতা। সেখানে তাকে দেখতে জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। সকলের সামনে গুরুদ্বারে বসেই ভাষণ দেন অমৃতপাল। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ভিডিও দেখা যায়, গুরুদ্বারের আসনে বসে মাইকে কথা বলছেন অমৃতপাল সিং। তবে তিনি কী বলেছেন, ভিডিও তা শোনা যায়নি।
এই ভাষণের পরই পুলিশ অমৃতপালকে গ্রেফতার করে। তাকে মোগা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় অমৃতসরে। ভাতিন্ডা বিমানবন্দরে অমৃতপালের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর সেখান থেকে খালিস্তানপন্থি নেতাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আসামে। সেখানকার ডিব্রুগড় জেলেই আপাতত থাকছেন অমৃতপাল। যেখানে রয়েছেন তার দলের আরও অন্তত আট সদস্য।
অমৃতপালের গ্রেফতারের খবর টুইট করে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি-শৃঙ্খলা বজার রাখার অনুরোধও জানিয়েছে তারা। কোনো রকম ভুয়া খবর না ছড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে বন্দি সঙ্গীকে ছাড়ানোর জন্য কয়েক শ অনুসারীকে নিয়ে গত ১৮ মার্চ হামলা চালান অমৃতপাল এবং তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপ্পলপ্রীত সিং। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই জন পলাতক ছিলেন। তবে গত ১০ এপ্রিল পপ্পলপ্রীতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ ৩৬ দিন পর অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা দিলেন অমৃতপাল।