আটকে পড়া ৪০০ বাংলাদেশি নাগরিক খার্তুম থেকে আটটি বাসে করে পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা রওয়ানা দেন।
সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জানান, আরও চারটি বাস সেখানে প্রস্তুত আছে। আরও যেসব বাংলাদেশি আসছেন, তাদের নিয়ে সেই বাসগুলো পরে রওনা দেবে।
সূত্র জানায়, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ এর অধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিশরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।
সুদানে প্রায় এক হাজার ৫শ বাংলাদেশি রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৭শ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রথমে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান এবং পোর্ট সুদান থেকে পোর্ট জেদ্দায় ফিরিয়ে আনা হবে। জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে এসব বাংলাদেশিদের ঢাকায় আনার হবে। ৩ ও ৪ মে এর মধ্যে বাংলাদেশিরা জেদ্দা পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জেদ্দার দুইটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে প্রায় ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে প্রবাসীদের যেন শারীরিক কোনো সমস্যা না হয়, এটি মাথায় রেখে পোর্ট সুদানেও বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছাবেন সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।