দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত সিনেমা ‘মায়া’ চলতি মাসেই টালিউডের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক ও সমালোচক মহলে। এবার এই অভিনেত্রী শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন।
টালিউড নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’কে বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন। এটা অবশ্য পুরনো খবর। তবে নতুন খবর হলো- সিনেমাটির সংলাপ কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মিথিলা। টালিউডের ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ খ্যাত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়দের ভাষা শেখাবেন এই অভিনেত্রী।
নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমায় একেবারে প্রাচীন ভাষা তুলে আনলে সেটা সিনেম্যাটিক হবে না। তাই আমরা একটা মধ্যমপন্থা নেওয়ার কথা ভেবেছি। যেহেতু রংপুর থেকে এই গল্পটা শুরু হয়ে ক্রমশ বৃহত্তর বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে, তাই পূর্ববঙ্গের ভাষার পাশাপাশি পশ্চিমের ভাষাও রাখতে হবে। সেজন্য পূর্ববঙ্গীয় ভাষা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন মিথিলা এবং অন্যান্য তালিম দিচ্ছেন সোহাগ সেন।
এ বিষয়ে মিথিলা বলছেন, ছবিটার মূল পটভূমি হলো ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। যা শুরু হয় বাংলাদেশের রংপুর থেকে। এর পর সেটা গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুবাদে সিনেমার বেশ কিছু চরিত্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক টোনে কথা বলবে। সেই চরিত্রগুলোর জন্য সংলাপ লেখা এবং শিল্পীদের উচ্চারণ অনুশীলন করানোই আমার মূল কাজ।
তিনি জানান, এখন চিত্রনাট্য লেখা চলছে, আমি ভয়েস ক্লিপ দিয়ে ইনপুট দিচ্ছি। অক্টোবর নাগাদ সরাসরি ওয়ার্কশপ করব। কাজটি করার সুযোগ পেয়ে আমার ভালোই লাগছে।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ধরা দেবেন ভবানী পাঠকের চরিত্রে। ছবিটি বাংলা ছাড়া আরও ছয়টি ভাষায় নির্মিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে টালিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই সিনেমা।