বাংলাদেশের সঙ্গে উল ও কটন খাতে বাণিজ্য বাড়াতে দেশটির আগ্রহের কথা জানান বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্যেই সুখবরের প্রতিশ্রুতি পেলেন; উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক মন্ত্রী।
দেশটির বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সেনেটর টিম আয়ার্স এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শুক্রবার সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে সহকারী মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহও প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বাসস।
এ বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিটেন্স, ক্ষুদ্র অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে গত দশকে বাংলাদেশের ‘অভূতপূর্ব’ উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রশংসা করেন।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, ফিনটেক, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এ খাতের সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক সংখ্যক সবুজ কারখানা স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএর ইএসজি (এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল, গর্ভনমেন্ট) অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়গুলো সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সরকারি তথ্য বিবরণীর বরাতে বাসস জানায়, টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও সরকারের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা ও বাংলাদেশের উৎপাদকদের দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক এ শিল্পকে বহুমূখীকরণে সহায়তা করছে।
২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টকে (টিফা) পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
বিজিএমইএর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। মেলবোর্নে গত ১৮ জুলাই সংগঠনটি হাইকমিশনের সহযোগিতায় তৈরি পোশাক শিল্প বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করে। শুক্রবার সিডনিতে হাইকমিশন ও কনস্যুলট জেনারেল যৌথভাবে এক সভাও করে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরা হয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্র্যান্ড ও শিল্পপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।