আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের রিজার্ভ মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে মুদ্রা সংকটের অনাহারে ভুগছে মিয়ানমার। দুই লাখ ৬১ হাজার ২২৮ বর্গমাইলের পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে রিজার্ভ মাত্র ছয় বিলিয়ন ডলার। মিয়ানমারে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ছিল বলে জানা যায়।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির দেখা সেন্ট্রাল ব্যাংক অব মিয়ানমারের (সিবিএম) নথি অনুসারে এ তথ্য পাওয়া যায়। ২০২১ সালে সু চি নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭.৭ বিলিয়ন ডলার। দুবছর আগের এ হিসাব বর্তমান অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের পতনকে প্রকাশ করে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সুদের অর্থপ্রদানের কারণে রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে।

এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি বিদেশি ব্যাংকে সিবিএমের বৈদেশিক রিজার্ভ রক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ৯টি ব্যাংকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রিজার্ভ মজুত ছিল। সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানে (ডিবিএস, ইউওবি, ওসিবিসি, এসএমবিসি, মে ব্যাংক, মিজুহো, সিআইএমবি, এমইউএফজি ও এসসিবি) মিয়ানমারের মোট বৈদেশিক রিজার্ভের ৬৭ শতাংশ আছে।

দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশ (২০ শতাংশ) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (এফআরবি এনওয়াই) গৃহীত ছিল। সুজারল্যান্ডের ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস (বিআইএস) ১২ শতাংশ ও হংকংয়ের ব্যাক অব চায়না (বিওসি), মে ব্যাংক (মালেশিয়া) এবং থাইল্যান্ডের এক্সিম ব্যাংকে ১ শতাংশ ছিল। এপ্রিল, মে ও জুনের আমদানি কাভার করার জন্য সিবিএম-এর কাছে বৈদেশিক রিজার্ভ ছিল। তবে বর্তমান রিজার্ভের অবস্থা জানা যায়নি। সম্প্রতি দেশটি মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতির শিকার হচ্ছে। কমে যাচ্ছে মুদ্রার মান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *