কাতারের দোহায় এক বাংলাদেশিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ৬ বছর পর ধরা পড়েছে ঘাতক।
পলাতক সেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রাশেদুল হক ওরফে রশিদুল ইসলাম (৩০)।
গত শনিবার রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি দোহায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের মার্চে কাতারের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করে।
সোমবার সিআইডির সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক জিসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঢাকা জেলার দোহার থানার একটি মামলার সূত্র ধরে গত শনিবার ডেমরা এলাকা থেকে রাশেদুলকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা সিআইডি।
তিনি জানান, রাশেদুল কাতারের রাজধানী দোহায় চাকরি করাকালীন ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি আব্দুর রাজ্জাক নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করেন। এর পরদিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
এ ঘটনায় কাতারে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। পরবর্তীতে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের মার্চে কাতারের একটি আদালত আসামিকে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। তবে কাতারে আত্মসমর্পণ না করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় সেই রায় কার্যকর করা যায়নি।
এদিকে, বাংলাদেশে আসার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে থেকে ঘাতক রাজ্জাক নিহত রাশেদুলের পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় রাজ্জাকের বাবা দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলার ভিত্তিতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডেমরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, আব্দুর রাজ্জাক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ছাড়াও তাদের সহযোগী এক নেপালি নাগরিককে ফাঁসির আদেশ দেয় দোহার আদালত।