ইসরাইলের এক রাতের বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার শত শত ভবন। শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘শত শত ভবন ও ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তীব্র বোমাবর্ষণ উত্তর গাজার ভূখণ্ড একেবারে বদলে দিয়েছে। চেনার কোনো উপায় নেই। রাতারাতি হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ইট-পাথরের দেওয়াল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ বোমা হামলা উত্তর গাজার জাবালিয়া জেলায় হয়েছে। ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আক্রমণে প্রায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর গাজা উপত্যকার বেইত লাহিয়া শহরে এবং তাল আল-জাতার এলাকায় ইসরাইলি হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক ডজন আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে। হামলার ফলে যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত সাদা-কালো ফটোতে দেখা গেছে, সাঁজোয়া যানের একটি কনভয় রাতে গাজায় প্রবেশ করেছে। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, হামাসের রকেট লঞ্চার এবং কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন হামাস সদস্য নিহত হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের স্থলবাহিনী রাতে হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনারা কোনো আঘাত না পেয়ে গাজা উপত্যকা ছেড়ে চলে যায়। গাজায় ইসরাইলের তীব্র বোমাবর্ষণের কয়েক ঘণ্টা আগে, সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি, হামাস যোদ্ধাদের গাজার হাসপাতাল থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর এবং বেসামরিক মানুষকে মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছিলেন। পরবর্তীতে ড্যানিয়েল ঘোষণা করেছেন, সেনাবাহিনী তার স্থল আক্রমণ প্রসারিত করবে।
এদিকে, হামাস আন্দোলনের সশস্ত্র বাহিনী আল-কাসেম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, তারা ইসরাইলি বাহিনীর একটি আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আল-কাসেম ব্রিগেড জানায়, ইসরাইল শুক্রবার ভোরবেলা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহ সৈকতে অবতরণ অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা এ অভিযানে পালটা জবাব দিয়েছি।