জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সোহেল তাজের স্মারকলিপিতে যা আছে

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৩ দফা দাবির স্মারকলিপি তুলে দিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বস্থ করেছেন যে, এই তিন দাবি অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত গণভবনের সামনে অবস্থান করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন শেষে গণভবনে ফেরার পর ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে পাঠিয়ে তাকে গণভবনের ভেতরে ডেকে নেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন সোহেল তাজ।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন শারমিন আহমদসহ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের কর্মী সমর্থকরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর থেকে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে ৫টার দিকে গণভবনের সামনে যান তিনি।

গণভবনের সামনে কিছুক্ষণ লোকজন নিয়ে বসে থাকেন সোহেল তাজ।

এ সময় তিনি বলেন, ‘তিন দফা দাবি নিয়ে এসেছি। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবিগুলো মেনে নেবেন।’

সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় ওই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক-সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১০ এপ্রিলও পদযাত্রা করে একই দাবিতে গণভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন সোহেল তাজ।

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

দিনটি জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *