জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে দল মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে তিন জন প্রতিমন্ত্রীসহ একাদশ জাতীয় সংসদের ৬৯ জন সদস্য বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগের বাদ পড়া আসন এবং গতবার জোট শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো মিলিয়ে মোট ১০৪টি আসনে নতুন মুখ এসেছে। মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন ২২ নারী। আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ৩৪ জন।
এছাড়া নবীন নেতা, সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক আমলা, সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, অভিনেতা ও ব্যবসায়ীদেরও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চমক হিসেবে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মাগুরা-১ আসন থেকে বর্তমানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তাঁর বাবা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১০টিতে এইবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়ক এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সুনামগঞ্জ-২ আসন (দিরাই ও শাল্লা) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল মান্নান চৌধুরী ছিলেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। এবার সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশের আরেক সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই হত্যা মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ। এই হত্যা মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
মনোনয়ন পেলেন তিন আমলা : জামালপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক ও নেত্রকোণা-৪ আসনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এদের মধ্যে সাজ্জাদুল হাসান সদ্য অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে এমপি হয়েছেন। এছাড়া মনোনয়নের তালিকায় নতুন মুখগুলো হলো পঞ্চগড়-১ মো. নাঈমুজ্জামান ভুইয়া, ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মো. জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মো. বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ মো. হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মো. মজিবর রহমান (মজনু), বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্রী, নওগাঁ-৪ মো. নাহিদ মোর্শেদ, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সিরাজগঞ্জ-২ মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ মো. শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, যশোর-২ মো. তৌহিদুজজামান, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল, বাগেরহাট-৪ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৬ মো. রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ এস. এম. আতাউল হক, বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেন, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ মো. কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মো. মামুন-অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ মো. মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ মো. আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-৩ এডিএম শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ মো. আব্দুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-১ মো. আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মো. মাইনুল হোসেন খান, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, ফরিদপুর-১ মো. আব্দুর রহমান, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কুমিল্লা-১ মো. আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, চাঁদপুর- সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবুল বাশার, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম-১ মাহাবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দীন আহমদ।
গতকাল দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। ফাঁকা রাখা দুই আসন হল কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা ও মিরপুর) এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ (বন্দর উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জ সদরের অংশ)। এই দুই আসনের বিষয়ে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে হবে বলে দল থেকে জানানো হয়েছে। গত তিনটি নির্বাচনের তুলনায় এবারও বেশি প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন সদস্য। তাঁরা তিনজনই প্রতিমন্ত্রী। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আবদুল হাই আকন্দকে। আবদুল হাই আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ানকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিপ্লব হাসানকে। বিপ্লব ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় মানিকগঞ্জের একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আছেন। তবে এবার দুর্জয় মনোনয়ন পাননি।
নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পরপর দুই মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বর্তমান সরকারে মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন না। তাঁর আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামাতা হাবিবে মিল্লাত বাদ পড়েছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। এবার সেখানে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবার হারালেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর বদলে জামালপুর-৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান। তার বাবা আবদুল মালেক একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমালোচিত হন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. বিপ্লব হাসান। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপ্লব ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরও এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। চাঁদপুর-১ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ। হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৪ আসনে পরপর দুবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিরোধে বিতর্কিত হন তিনি। এবারও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে বাদ পড়েছেন নৌকা প্রতীকে মনোনীতদের তালিকা থেকে। এখানে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। রাজধানীর ধানমন্ডি-নিউমার্কেট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। এবার তিনি বাদ পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এবার বাদ পড়েছেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
নৌকার টিকিটে পেলেন ২২ নারী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মনোনীত। রংপুর-৬ আসনে ফের মনোনয়ন পেলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী। সেখানে এর আগে দলের সমঝোতার ভিত্তিতে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি হয়েছিলেন। এছাড়াও শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন (রিমি), চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি, গাইবান্ধা-৩ আসনে পেলেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ, কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার, ও কুমিল্লা-২ আসনে সেলিমা আহমাদ। প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেলেন সিরাজগঞ্জ-২ মোছা. জান্নাত আরা হেনরী। বরগুনা-আসনে ২ সুলতানা নাদিরা। এই আসনে শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি ছিলেন। ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম। এই আসনে এমপি ছিলেন প্রবীণ নেতা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা-৪ সানজিদা খানম। গাজীপুর-৩ রুমানা আলী। এই আসনে ছিলেন ইকবাল হোসেন সবুজ। চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার। লক্ষ্মীপুর- ৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী মনোনয়ন পেলেন।