পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সেই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানোর সুযোগ না-ও পেতে পারেন। কারণ নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগেই আলভির উত্তরসূরি নির্বাচিত হতে পারে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন ডাকার শেষ সময়ের তিন দিন আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রাদেশিক পরিষদের নতুন সদস্যরা শপথ নিতে পারেন পরদিন।
জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া কোনো ব্যক্তি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য থাকবেন না।
গতকাল সোমবার দ্য নিউজকে একটি সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৫৩ সদস্যের নির্বাচন ৮ মার্চের আগে হতে হবে। সিনেটের চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনও এ সময়ের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া ৮ মার্চের আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে।
সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে আলভি আর নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানোর সুযোগ পাবেন না। সেক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়াবেন।
সূত্র বলছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর তারা সিনেট সদস্য নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ২৬ ফেব্রুয়ারি ডাকা হতে পারে। প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন একই দিন বা পরের দিন ডাকা হতে পারে। তবে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকার শেষ সময় ২৯ ফেব্রুয়ারি।
সিনেট নির্বাচনে সময় লাগবে চার দিন।
সিনেট সদস্যদের শপথ গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।