ইসরাইলের অবিরত হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। সেনাদের লাগাতার বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে সব কিছু। দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। ফুরিয়ে গেছে খাবার পানি।
চরম খাদ্য সংকটে অনাহারে ভুগছেন বাসিন্দারা। এরই মধ্যে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকায় ত্রাণের খাবারও পৌঁছাতে পারছে না ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর দুয়ারে। মিসর থেকে গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা কিছু খাবার তাদের কাছে পৌঁছানোর আগেই পচতে শুরু করেছে সেখানেই।
শনিবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাফায় ইসরাইলের আক্রমণ বাড়ার পর থেকে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে বেশ কিছু খাবার সরবরাহের ট্রাক। সেখানেই পচে যাচ্ছে গাজার ত্রাণের খাবার।
৬ মে ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে এটি গাজার মানবিক ত্রাণের পাশাপাশি কিছু বাণিজ্যিক সরবরাহের প্রধান এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল।
সেনারা ক্রসিং দখলে নেওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। মাহমুদ হুসেন নামে একজন ট্রাকচালক জানিয়েছেন, এক মাস ধরে তার গাড়িতে পণ্যবোঝাই করে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে রোদে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু খাদ্যসামগ্রী ফেলে দেওয়াও হচ্ছে। আবার কিছু খাবার সস্তায় বিক্রিও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হুসেন আরও বলেছেন, আপেল, ডিম, কলা, চিকেন এবং পনিরসহ অনেক কিছু পচে গেছে। কিছু জিনিস ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ পর থেকে রাফাহ দিয়ে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু রাফায় ইসরাইলের হামলা জোরদার করার পর থেকে খাদ্য সরবরাহ একেবারেই কঠিন হয়ে পড়েছে।
মিসরীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, মানবিক কার্যক্রম সামরিক কার্যকলাপের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্য ইসরাইলকে ক্রসিংটি ফিলিস্তিনিদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।
মিসরীয় প্রেসিডেন্সি বলেছে, রাফাহ না খুলে দেওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের নিকটবর্তী কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সাহায্য পাঠাবে মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্র। এটি রাফাহ থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল) পশ্চিমে মিসরীয় ক্রসিং এবং আল-আরিশ শহরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।