সপ্তম ধাপের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে শনিবারই শেষ হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এদিন বিকালেই দিল্লিতে বৈঠকে বসবে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কথা ছিল, এ বৈঠকেই ক্ষমতায় এলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে আলোচনা করবে দলগুলো। তবে এর আগেই ‘প্রধানমন্ত্রী মুখ’ হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের পছন্দের কথা জানান খাড়গে। ব্যক্তিগতভাবে তিনি রাহুল গান্ধীকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নেতা মনে করেন।
এর আগে কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বিগত কয়েক দিন ধরেই দাবি করে আসছেন—তারাই এবার ক্ষমতায় আসবেন। বিদায় নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এ অবস্থায় বিরোধীরা সরকার গঠন করলে স্বভাবতই প্রশ্ন চলে আসে—তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবেই দুই দিন আগে স্বয়ং খাড়গে এবং জোটের বড় মুখ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পরই এই প্রশ্নের জবাব মিলবে। তাদের কথায় এমন মনোভাবই ফুটে উঠেছিল যে, বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো নেতার অভাব নেই।
সর্বশেষ রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যোগ্য নেতা বলার পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে জানান, ভোটের লড়াইয়ে এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আত্মপ্রকাশ হোক এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, গান্ধী পরিবারের পারিবারিক ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত রায়বেরেলি থেকে প্রার্থী হবেন প্রিয়াঙ্কা। এই আসন থেকে এর আগে টানা ৫ বার বিজয়ী হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা কেউই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হননি। এর বদলে তারা বিরোধী জোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায়ই ব্যস্ত ছিলেন এবং রায়বেরেলি থেকে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হন রাহুল গান্ধী।
বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন—এই বিষয়টি নির্বাচনের আগে থেকেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের আলোচনায় ছিল। এই জোটের একটি বৈঠকে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো কয়েকজন নেতা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে খাড়গের নামই উচ্চারণ করেছিলেন। তবে সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি নিয়ে খাড়গের কাছে জানতে চাইলে, কথা আর বাড়াতে চাননি তিনি।