ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ঘণ্টায় শতভাগ কুরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। আর দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬৪টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মেয়র আতিক বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ৬ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কুরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
যারা আজ ঈদের দিন কুরবানির পশু জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি, তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই পশু জবাই সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ঈদের দিন বেলা ২টায় ডিএনসিসির ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ৬ এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত ৮টায় নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২১০১ ট্রিপে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪টি ওয়ার্ডের সকল এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কুরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। দুপুর ২টায় মিরপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মিরপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কালশী, বনানী, গুলশান, হাতিরঝিল, মধুবাগ, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা, বারিধারা প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম রাত ৮টা পর্যন্ত স্বশরীরে পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের তদারকি করার জন্য ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১০টি গ্রুপ গঠন করা হয়। ১০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ। ১০টি গ্রুপ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিল। গুলশান নগর ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের হট লাইন নম্বর ১৬১০৬।
এদিকে দক্ষিণে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৪টি ওয়ার্ড থেকে কুরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সিটি ২৪ ঘণ্টা ও উত্তর সিটি ৬ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছিল।