জাতীয়

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টি, কুড়িগ্রাম সিলেটে লাখো মানুষ পানিবন্দি

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম ও সিলেটে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রংপুর ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। নেত্রকোনা, বান্দরবান, জামালপুরসহ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত। রাজশাহীর বাঘায় তলিয়ে গেছে দেড় শতাধিক চাষির বাদাম খেত। কক্সবাজারে পাহাড় ধসে দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে মেরিন ড্রাইভে। রাঙামাটিতে বন্যার পানিতে ভেসে নিখোঁজ রয়েছে স্কুলছাত্র। বগুড়ায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুড়িগ্রাম, রৌমারী ও চিলমারী : ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে গত তিনদিন ধরে ঘরের ভেতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। চৌকিতে রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত কাটছে তাদের। বাড়ির চারপাশে থৈথৈ পানিতে অসহায় দিন কাটছে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান, গত তিনদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। ছেলে মেয়েকে উঁচু জায়গায় রেখে গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি। যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নে ১৫শ’ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, বন্যাকবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় এক হাজার ২শত পরিবারকে ১০ কেজি করে চালসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এদিকে তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্তহাট। চিলমারীতে তলিয়ে গেছে হাজারও একর জমির পাটসহ বিভিন্ন ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

রংপুর : গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও নদীর তীরবর্তী নিুাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে তিস্তার তীব্র স্রোতে নদী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার ২০টি ঘরবাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। গত ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে তিস্তা নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে প্রতিদিন তিস্তা নদীতে ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পানি বাড়ে, আবার কমে যায়। এতে করে নিুাঞ্চলের মানুষরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতির মুখে পড়েছে। ডুবে গেছে বাদাম, পাটসহ শাক-সবজির ফসলি জমি।

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শাহজাদপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামহোনপুর, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপুর, কৈজুরি ইউনিয়নের হাট পাঁচিল, শরিফমোড়, মোনাকষা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাট পাঁচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা পাকা ভবনসহ এসব গ্রামের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নেত্রকোনা: কলমাকান্দা, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও মদন ও সদর উপজেলায় অন্তত শতাধিক গ্রামের নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অন্তত ৬৮টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। নিচু অঞ্চলের গ্রামের রাস্তা, পুকুর, ঘরবাড়ি ও বিদ্যালয় প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। এদিকে, অতিরিক্ত ঢেউয়ে হুমকিতে রয়েছে নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের কিছু অংশ। মোহনগঞ্জে ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চত্বরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গাগলাজুরের ভাটি বাংলা হাই স্কুলেও বন্যার পানি ঢুকেছে। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ঢলের পানিতে উপজেলার কিছু নিুাঞ্চল আবারও নতুন করে প্লাবিত হলেও মঙ্গলবার রাত থেকে ধীরগতিতে পানি নেমে যাচ্ছে।

বাঘা (রাজশাহী) : বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ৩ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় শতাধিক চাষির রোপণ করা বাদাম। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পদ্মার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাদাম রক্ষা করার চেষ্টা করছেন মানিকের চরে চাষিরা। মানিকের চরে শতাধিক পরিবার বসবাস করে। তারা পানিবন্দি হয়ে আছেন। তাদের মতো আরও ১৪টি চরের একই অবস্থা। তাদের আয়ের উৎস কৃষি কাজ। বর্তমানে চারদিকে পানি।
বগুড়া : সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বিকালে মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টা ৫৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কৃষকরা অপরিপক্ব পাট কেটে নিচ্ছেন। পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব এলাকায় ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে।

জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ (সিলেট) : জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে ডাইক ভেঙে এক মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে অবনতি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছবড়িয়া, রারাই, বাখরশাল, পৌর এলাকার নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ডাইক ভেঙে ও ডাইক উপচে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে প্রায় ৮৫টি গ্রামের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে গোলাপগঞ্জে বন্যায় আবারও অবনতি ঘটেছে। অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও বাড়িঘর। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় লোকজন ছুটছেন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অঘোষিত ছুটি।

মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও বড়লেখা : মৌলভীবাজারে নদী ও হাওড়ের পানি বাড়ছে। মনু, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিক্রম করছে। জেলা শহর তীরবর্তী মনুনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর বাঁধ তীরবর্তী শতাধিক দোকান চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে মনুনদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বাহিরের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। ব্যবসায়ীরা বুধবার সকাল থেকে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, জেলায় ৫টি উপজেলাই বন্যাকবলিত। পরপর ৩ বার বন্যা হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৩২৭ জন। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৮ হাজার ৭০৮ জন মানুষ উঠেছেন। ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা বাড়ছে। বড়লেখায় উপজেলায় খোলেনি ৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ষাণ¥াষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে গত সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে পানি বেড়েছে জেলার তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায়। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার বিকাল ৬টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমেছে ছাতক ও দিরাই পয়েন্টেও। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ মিলিমিটার।

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : দেওয়ানগঞ্জের নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ী সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক বুধবার দুপুরে ধসে যায়। রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ও রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে চুকাইবাড়ী গুচ্ছগ্রামের ১৩৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

কক্সবাজার : পাহাড় চাপায় মারা গেছেন দুই রোহিঙ্গা। এ সময় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ সময় ডজনাধিক ক্যাম্পে জলাবদ্ধতা ও পানিতে শতাধিক শেল্টার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বুধবার ভোর রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে বলে ক্যাম্প সূত্রের বরাতে জানিয়েছেন উখিয়া থানায় ওসি মো. শামীম হোসেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১১ ব্লক ১ এফের দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ও টেকনাফের লেদার মো. আলমের ছেলে মো. সিফাত। একইভাবে, একাধিক স্পটে পাহাড় ধসের মাটির সড়কের ওপরে আসায় কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে বেশ কয়েকঘণ্টা যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে সেনাবাহিনী বুলডোজার দিয়ে মাটি সরিয়ে বেলা ১১টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত। মেরুং ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি। এছাড়া কবাখালি ইউনিয়নের ৫ গ্রামের পানি এখনো নামেনি। এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়াটার এলাকায় সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে লংগদু উপজেলার বাসিন্দারা। খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

রাঙামাটি : বাঘাইছড়িতে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে কৃতিত্ব চাকমা নামে অস্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। সে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের মধ্যম বাঘাইছড়ি গ্রামের মিলটন চাকমার ছেলে। কৃতিত্ব মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হলেও গত ১৮ ঘণ্টায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলার প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্র“ ও বহুল আলোচিত কোনারপাড়াসহ ৫ গ্রাম। এছাড়া পাহাড় ধসের ঘটনাও রয়েছে অনেক এলাকায়। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে এসব এলাকায়। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা দেওয়ালসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

শেরপুর ও নালিতাবাড়ী : মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর পানি এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে উজানের পানি নেমে গিয়ে ভাটি এলাকার নিুাঞ্চলের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। নালিতাবাড়ী-নকলা মহাসড়কের বাইটকামারি সেতু সংলগ্ন সড়কের একাংশ ধসে গেছে।

সাঘাটা (গাইবান্ধা) : সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে সড়ক ভেঙে গেছে। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভাঙা অংশ দিয়েও তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। ওই এলাকার নদী তীরবর্তী নিুাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে গেছে। পানি প্রবেশ করায় ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, আবাদি জমির ফসল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *