বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির কার্যক্রম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু এবং চিত্রনায়ক ও প্রযোজক জায়েদ খানের।
এর জেরে জায়েদ খানের সমিতির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল চলতি মাসের প্রথমদিকে। এরপর জায়েদ খান প্রযোজক সমিতির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংগঠনটির কার্যক্রম প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করেন খোরশেদ আলম খসরু। অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় প্রযোজক সমিতির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় মন্ত্রণালয় থেকে।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, প্রযোজক সমিতির বেশ কিছু অনিয়ম ছিল। যেগুলো আমি অভিযোগ আকারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ কমিটি আমার সদস্যপদ বাতিল করেছিল, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেটিও বহাল রেখেছেন তারা। আমি সব সময় সত্য ও সুন্দরের পক্ষে। কোনো অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় কথা বলে আসছি। আমি বলব সত্যের জয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে গত বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেন খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, মনতাজুর রহমান আকবর ও শরীফ উদ্দিন খান দিপু।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নূরুল হককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জায়েদ খান ঘনিষ্ঠরা বেশ উৎফুল্ল এবং আনন্দিত। আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য সার্বিক সহযোগিতা করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।