রাজনীতি

আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে লজিস্টিকস, বন্দর, বিমান চলাচল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত দেশটি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ আল হামুদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তার দেশের এই আগ্রহের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইউএই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। পুরো জাতি এতে খুবই খুশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ইউএই সরকার। এজন্য সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ।

রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ পার করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি এবং সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউএই বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

রাষ্ট্রদূত জানান, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড ও আবুধাবি পোর্টস চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, ইউএইর আরেকটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান মাসদারও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশেষত ভাসমান সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ইউএইর আরও বেশি বিনিয়োগ এবং আমিরাতের আরও বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আগমনের প্রত্যাশায় রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *