বিনোদন

দক্ষিণী নায়িকা রশ্মিকা এখন ‘ন্যাশনাল ক্রাশ অব ইন্ডিয়া’

তেলুগু ও কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনা এখনও বলিউডে অভিষেকই করেননি। অথচ দক্ষিণে সীমাবদ্ধ থেকেও তিনি ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘ন্যাশনাল ক্রাশ অব ইন্ডিয়া’তে পরিণত হয়েছেন।

দীপিকা, ক্যাটরিনা, দিশা পাটনির মতো বলিউডের সুপারস্টার সব নায়িকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন দক্ষিণী তারকা রশ্মিকা। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘ন্যাশনাল ক্রাশ অব ইন্ডিয়া’ লিখে সার্চ করলে পাওয়া যাবে শুধু তারই ছবি।

গ্ল্যামার দুনিয়া মানেই শুধু বলিউড নয়, আর বলিউডে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও রশ্মিকাকে খুঁজে পাবেন না। কারণ এখনও বলিউডে তিনি পা রাখেননি। তিনি মূলত কন্নড় ফিল্মের নায়িকা।  ২০১৬ সালে কন্নড় ফিল্ম ‘কিরিক পার্টি’তে ডেবিউ করেন রশ্মিকা। কন্নড় ছাড়া তেলুগু ফিল্মেও চুটিয়ে কাজ করছেন রশ্মিকা।

তাকে দর্শকেরা এতটাই পছন্দ করেছেন যে এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ১০০ কোটি রুপির মালিক হয়ে গিয়েছেন। সারা ভারত খুঁজলেও এমন কোনও অভিনেত্রী পাওয়া যাবে না যিনি এই অল্প সময়ে এত টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন।

রশ্মিকার জন্ম কর্নাটকের বিরাজপেটে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মডেলিং করতেন। প্রচুর বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে তাকে। বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের সময় তার একটা ছবি দেখেই কন্নড় ফিল্ম ‘কিরিক পার্টি’র পরিচালকের পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাকে। পরিচালক নিজেই তাকে ছবির প্রস্তাব দেন।

 

২০১৭ সালে দক্ষিণী নায়ক রক্ষিত শেট্টিকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়। ফিল্ম ‘কিরিক পার্টি’ থেকেই তাদের পরিচয়। এই ফিল্মে রক্ষিত তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।

 

গ্ল্যামার দুনিয়ায় আসার পর থেকে এখনও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রশ্মিকাকে। এখনও পর্যন্ত তার প্রতিটা ফিল্মই বাণিজ্যিক ভাবে দারুণ সফল। খুব দ্রুত কেরিয়ারে উত্থান ঘটা রশ্মিকা এতদিন কর্নাটকের ক্রাশ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।

 

এবার কর্নাটকের পাশাপাশি ন্যাশনাল ক্রাশও হয়ে উঠলেন। তার অসম্ভব মিষ্টি হাসি। রশ্মিকার হাসিতে নাকি জাদু রয়েছে। আর ভুবন ভোলানো সেই হাসিতেই মজেছে তরুণ প্রজন্ম।

 

তার নাম দিয়ে এত পরিমাণ সার্চ হয়েছে গুগলে যে তিনিই এখন ন্যাশনাল ক্রাশ।

এর আগে বলি অভিনেত্রী দিশা পাটানি হয়েছিলেন ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশ। সেই দৌড়ে দিশাকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে এলেন রশ্মিকা। যেভাবে রশ্মিকা এগোচ্ছেন তাতে খুব তাড়াতাড়িই বলিউডে তিনি সুযোগ পেয়ে যাবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *