গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ২৪২ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৬৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৩টি, জিন-এক্সপার্ট ১৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার পাঁচটি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৩০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী আট জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন। খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে চার জন। এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৫ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৪২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৪ হাজার ৮১১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮২ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৩৫৫ জন