চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন পর্যন্ত চারবার চরিত্র পাল্টেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের পর থেকে একাধিক খবর তারা পেয়েছেন, যেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন উপসর্গের রোগ দেখা দিয়েছে। আসলে সেগুলো ভাইরাসের নতুন চরিত্রের লক্ষণ।
২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে সার্স কোভ-২-এর একটি ভিন্ন চরিত্রের ভাইরাস, যার নাম ডি৬১৪জি পাওয়া যায়। তারপর বেশ কয়েক মাস ধরে এই চরিত্রের ভাইরাসটি বারবার চরিত্র পাল্টেছে বলে জানা গেছে। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ যত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে, ততই চরিত্র পাল্টাচ্ছে এই ভাইরাস।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রিটেনে পাওয়া যায় করোনার নতুন এক চারিত্রিক বৈশিষ্টযুক্ত ভাইরাস। সেটির নাম দেওয়া হয় সার্স কোভ ২ ভিওসি ২০২০১২/০১। আগের করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর থেকেই এই নতুন চরিত্রের ভাইরাসটি ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে কোথা থেকে এই নতুন চরিত্রের ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল, সেটি আগের তুলনায় অনেক দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু সেটির প্রাণঘাতী ক্ষমতা আগের থেকে কম। চিকিৎসকরা জানান, এই নতুন স্ট্রেন মানুষের শরীরে আগের থেকে কম ক্ষতি করছে। এরপর তৃতীয় চরিত্রের স্ট্রেন যুক্ত ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায় ২০২০ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ। ডেনমার্কে এই নতুন প্রকারের ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে পশুর শরীরেও এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে।
এ ছাড়াও, ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকায় সার্স কোভ ২-এর নতুন এক চরিত্রের ভাইরাসের সন্ধান মেলে। সে দেশের তিনটি প্রদেশে এই নতুন চরিত্রের ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানায় প্রশাসন। দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চরিত্রের ভাইরাসের নাম দেয় ৫০১ওয়াই.ভি২। দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া নতুন চরিত্রের ভাইরাসটি এখনও পৃথিবীর আরও চার দেশে পাওয়া গেছে।