মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে সেনা সংশ্লিষ্ট পণ্য ও পরিষেবা না কেনার ডাক দেয়া হয়েছে।
স্টপ বায়িং জান্তা বিজনেস’ (সেনাপণ্য কেনা বন্ধ কর) কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এই ডাক দিয়েছেন দেশটির খ্যাতনামা সাবেক ছাত্রনেতারা।
শুধু তাই নয়, চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে কৃষক, শ্রমিক-মজুর ও ছাত্রছাত্রীদের সংগঠিত করছেন তারা। খবর মিয়ানমার টাইমস ও দ্য ইরাবতীর।
মিয়ানমারে গত সপ্তাহে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সেই সঙ্গে দেশটির নেত্রী ও সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে।
এছাড়া এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
সেনাশাসন প্রত্যাখ্যান ও গণতন্ত্রের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সাধারণ জনগণকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক দিয়েছেন ছাত্রনেতারা।
৮৮ জেনারেশন পিস অ্যান্ড ওপেন সোসাইটি মিয়ানমারের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন।
ক্রমবর্ধমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রশংসা করে এর প্রধান দুই সংগঠক কো মিন কো নাইং ও কো জিমি এক বিবৃতিতে বলেন, সেনাশাসনের প্রতিবাদে কৃষক, শ্রমিক-মজুর ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
তারা আরও বলেন, মিয়ানমারের জনগণকে সেনাবাহিনীর অর্থের উৎসগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে তাতমাদো বলেও পরিচিত।
তাদের সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য ও মদ-পানীয় জাতীয় সামগ্রী, বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি, ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া কোম্পানি, ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, তেল কোম্পানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করা সংস্থার সম্পর্ক আছে। সেগুলোই বয়কটের ডাক উঠেছে।
ছাত্রনেতারা বলেন, ‘জনগণের উচিৎ এখনই সেনা সংশ্লিষ্ট সকল পণ্য ও পরিষেবা কেনা বন্ধ করে দেয়া।’