মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ বছরই আরও এক লাখ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হচ্ছে। এই এক লাখ ঘর দুই ধাপে দেওয়া হবে। এরমধ্যে এপ্রিলে ৫০ হাজার পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে, আর জুন-জুলাইয়ে দেওয়া হবে বাকি ৫০ হাজার পরিবারকে।
এজন্য ৫০ হাজার নতুন ঘর নির্মাণের কাজ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সমন্বয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসিসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে সারা দেশের ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে।একসঙ্গে একক গৃহ ও ব্যারাকে মোট ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং ঘর দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে (বৃহস্পতিবার) নির্দেশনা দিয়েছেন যে আরও ৫০ হাজার ঘরের জন্য আজকে ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে। এজন্যই আজ আমরা একত্রিত হয়েছি।
এবার ঘরের নকশায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাজেটটা আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে যেসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল, প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছিল। এবার আরও ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।