অভিশংসনের বিচারে দ্বিতীয়বারের মত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে রেহাই দিয়েছে সেনেট। আর তাতে অসন্তুষ্ট নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই বিচার আবারও মনে করিয়ে দিল ‘গণতন্ত্র ভঙ্গুর’।
গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের কলঙ্কজনক হামলার ঘটনায় নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। কিন্তু সেনেট আবারও সদ্য সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়। ওই হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সেনেটের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শনিবার ভোটাভুটিতে ৫৭ জন সেনেটর (সাত জন রিপাবলিকান ও দুই জন স্বতন্ত্র সেনেটেরসহ) ট্রাম্প ‘দোষী’ বলে মত দিলেও বিপক্ষে পড়ে ৪৩ ভোট।
অবশ্য দলীয় প্রতিনিধির সংখ্যায় আধাআধি ভারসাম্যে থাকা সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের আনা ওই অভিযোগে এবারও যে ট্রাম্প রেহাই পেয়ে যাবেন, তা আগেই অনুমিত ছিল।
এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘‘(ট্রাম্পের বিরুদ্ধে) যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিয়ে বিরোধের অবকাশ নেই।”
ওদিকে ট্রাম্প আবারও তাকে রেহাই দেয়াকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব ‘উইচ হান্ট’ ছাড়া আর কিছু না।
ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।
বাইডেন যা বলেছেন:
ট্রাম্পকে রেহাই দেওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেন, ‘‘যদিও চূড়ান্ত ভোটে বিচারের পক্ষে রায় আসেনি। কিন্তু যার ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটা বাস্তব এবং তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই।
“আমাদের ইতিহাসের দুঃখজনক এই অধ্যায় আবারও স্মরণ করিয়ে দিল, গণতন্ত্র অত্যন্ত ভঙ্গুর। এটাকে অবশ্যই সব সময় রক্ষা করতে হয়। তাই আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ওই ধরনের নৃশংসতা ও চরমপন্থার কোনও স্থান আমেরিকাতে নেই। একজন আমেরিকান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের একটি দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। বিশেষ করে নেতা হিসেবে, সত্যকে রক্ষা করা এবং মিথ্যাকে পরাজিত করা আমাদের দায়িত্ব।”
পূর্বসূরির অভিশংসন প্রক্রিয়া থেকে বাইডেন বরাবরই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি তিনি সরাসরি সম্প্রচারিত বিচার প্রক্রিয়ায় দেখনি বলে জানায় বিবিসি।