ভোজ্যতেল সয়াবিনের যৌক্তিক মূল্য প্রতি লিটারের (খোলা বাজারে) খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা ও বোতলজাত ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
একইসঙ্গে ভোজ্য তেলের মূল্য অস্থিতিশীল থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা প্রতিমাসেই আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সভায় বাণিজ্যসচিব জাফর উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা বাজারে মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি, তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটারের মিল গেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। সব হিসাব নিকাশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ঘোষণার পর শক্ত হাতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি, তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিপিং কস্টও বেড়েছে। জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় আরও বেশি যৌক্তিকহারে নির্ধারণের জন্য এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব ব্যুরোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।