নতুন জার্সি, কিট ব্যাগগুলো সোমবারই পেয়ে গেছেন ক্রিকেটাররা। পড়ন্ত বিকেলে জার্সিসহ বিসিবি কার্যালয় ছেড়ে গেছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোসহ অন্য কোচরা। তিনটি করে ওয়ানডে, টি-২০ খেলতে মঙ্গলবার বিকেলে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করবে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
বিকেল ৪টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যাবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। সিঙ্গাপুরে এক ঘণ্টার বিরতি থাকলেও ফ্লাইট থেকে নামতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। সিঙ্গাপুর থেকে ক্রাইস্টচার্চে উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে বাংলাদেশ দল।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো জয় নেই। এবারও সফরটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ডানহাতি এ পেসার বলেছেন, ‘আসলে নিউজিল্যান্ডে এর আগেও দুইবার খেলেছি আমি। বিশ্বকাপ খেলেছি এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলেছি। সবসময় অনেক চ্যালেঞ্জিং হয় বাইরে থেকে যারাই খেলতে যায় ওদের কন্ডিশনে ওদের সঙ্গে। ওইখানে ভালো করতে হলে আসলে সহজে কোনো কিছু পাওয়া সম্ভব না বোলার, ব্যাটসম্যান দুজনের জন্যই। কারণ ওদের কন্ডিশনে সবসময় ওরাই ফেভারিট থাকে এবং কঠিন হয় প্রতিপক্ষ দলের জন্য। তবে আমাদের শতভাগ তো দিতেই হবে সঙ্গে ইতিবাচক থাকতে হবে।’
কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়া, বাতাসের বিপরীতে, বাতাসের প্রবাহে বোলিং করাই নিউজিল্যান্ডে পেসারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জিনিসগুলো দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে বলে জানান তাসকিন। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় অনেক সময় যে মানিয়ে নেয়া। প্রচণ্ড বাতাস থাকে। যে বাতাসটা নিউজিল্যান্ডে আসলে ফিল্ডিং করার সময় বা বোলিংয়ে রানআপের সময় বা ব্যাটিংয়ে ফোকাস করতে সমস্যা হয়। কিন্তু এগুলা আসলে অজুহাত হতে পারে না। এগুলা নিয়েই আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে নিয়ে ভালো করার।’
দলে ডাক পেলেও সফরের আগ মুহূর্তে ইনজুরিতে পড়ায় ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেননি তাসকিন। পুরোপুরি ফিট থাকায় এবার ভালো কিছুর আশায় আছেন এ তরুণ। জাতীয় দলে খেলার জন্যই ফিটনেস ও বোলিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাসকিন। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমার জন্য বড় বিষয় হবে কারণ আমি সবসময় চাই বাংলাদেশ দলের হয়ে থাকতে, খেলতে। দিন শেষ এটাই আমার স্বপ্ন। মেহনত করার পেছনে এটাই লক্ষ্য থাকে যে সবসময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা।’