আন্তর্জাতিক

কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কোভিড-১৯ মহামারির স্বাস্থ্যগত এবং আর্থ-সামাজিক প্রভাব লাঘব করতে বাংলাদেশের অসাধারণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠককালে গুতেরেস বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।

গুতেরেস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করেন যে, কোভিড-১৯ টিকাদানকে ‘বৈশ্বিক জনগণের কল্যাণ’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

মহাসচিব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভুয়শী প্রশংসা করেন এবং পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য”।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

মোমেন জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের জন্য মহাসচিবের আহবানকে স্বাগত জানান এবং তাকে জানান যে, বর্তমান সিভিএফ সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে এবং চলতি বছর গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনের প্রস্তুতিতে অব্যাহতভাবে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে যাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য এমনকি উত্তরণের পরেও নতুন সহায়তা ব্যবস্থাসহ সুবিধা প্রদানের জন্য উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তার প্রভাব কাজে লাগানোর জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ জানান।

মতবিনিময়কালে গুতেরেস উল্লেখ করেন, উত্তরণের বিষয়টিকে কেবল জিডিপি’র ভিত্তিতে কৌশলগত পরিমাপ দিয়ে বিবেচনা করা উচিত হবেনা, বরং এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক ঝুঁকি সূচক বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন,“উত্তরণ লাভের জন্য শাস্তি নয় বরং পুরস্কার দেয়া উচিত।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নিয়েও আলোচনা করেন।

তিনি মুজিব বর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠককালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *