মিয়ানমারে লাশের মিছিল থামছেই না। মাত্র একদিনেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩৮ জন বিক্ষোভকারী। সামরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর গতকাল বুধবারই (৩ মার্চ) ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অন্তত তিনটি শহরে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গতকালের ঘটনাসহ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে।
দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টাইন শ্রানার বারগেনার বুধবারের ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান। এর মধ্যে মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থল মনিয়ায় গুলিতে চারজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। ইয়াঙ্গুন, মান্দালি এবং মিনগিয়ানে অন্যদের প্রাণহানি ঘটে। ইয়াঙ্গুনের একটি বিক্ষোভে গুলিতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, এ দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছাড়াও প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেন। একজন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জলকামান ব্যবহার না করে সরাসরি গুলি চালান বিক্ষোভে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট ও অধিকাংশ মন্ত্রীকে আটক করে। এর কয়েক দিন পর থেকেই দেশটির সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে।