অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিশুদের প্রতি যেন কোনো ধরনের নির্যাতন না করা হয়। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে তাদের মুক্ত রাখতে হবে।’
বুধবার গণভবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যু্ক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শিশুদের বাড়িতে পড়াশোনা ও খেলাধুলার করার কথা বলেন তিনি। শিশুদের মাদক থেকে দূরে রাখতে অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। তিনি সবসময় শিশুদের ভালোবাসতেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিলো। তিনি সবসময় এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে নিজের কাপড়, নিজেদের গোলার ধান মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটি দিনে উপস্থিত হয়েছি, যেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।’
বঙ্গবন্ধু সবসময় সততার পথে থেকেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সততার পথে থেকে বঙ্গবন্ধু দেশটা স্বাধীন করেছেন। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর মানুষের সাহায্য করার মানসিকতা ছিলো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে আজ আমি টুঙ্গিপাড়ায় যেতে পারিনি। তবে আমার মনটা টুঙ্গিপাড়ায়ই পড়ে আছে।’
অন্যান্য বার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান করলেও এবার করোনা ভাইরাস পরিস্থির কারণে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী কবি সুকান্তের কবিতা থেকে পাঠ করে তার বক্তব্য শেষ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
বেঁচে থাকলে এই দিনে বঙ্গবন্ধুর বয়স হত ১০১ বছর। আর ঠিক নয় দিন বাদেই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ দুই বিশেষ উপলক্ষ ঘিরে বুধবার শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে দশ দিনের অনুষ্ঠানমালা, যা শেষ হবে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানমালার পাঁচ দিনের আয়োজনে যোগ দেবেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।