রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ১৭ জন নিহত হয়েছেন; তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতদের মধ্যে দুই পরিবারের পাঁচজন করে আর একটি পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
রাজশাহী সিটি পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে তারা হতাহত হন।
নিহত ১৪ জন হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ থানার রাজারামপুর গ্রামের সালাহউদ্দিন, তার স্ত্রী কামরুন্নাহার, কামরুন্নাহারের বোন সামসুন্নাহার, তাদের সন্তান সাজিদ ও সাবা, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার তাজুল ইসলাম ভুট্টু, স্ত্রী মুক্তা, সন্তান ইয়ামিন, দাঁড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেসুর, বড় মজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া, স্ত্রী নাজমা, তাদের সন্তান সুমাইয়া, সাদিয়া ও চালক ফয়সাল।
অন্য তিনজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর মাইক্রোবাসটি রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। পথে বাস ও মাইক্রোসাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে ১১ যাত্রী পুড়ে মারা যায়। আহত আট যাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ছয়জন অল্প সময়ের মধ্যে মারা যান।
অন্য দুইজনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী পুড়ে মারা যায়। আহত আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও ছয় যাত্রী মারা যায়।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাঁশভর্তি একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও এক কিশোর সাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছে। একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাসও যাচ্ছে শহরের দিকে। আর বিপরীত দিক থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস আসছে।
পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, মাইক্রোবাস ওই বাঁশের ভ্যানটিকে অতিক্রম করার সময় বাসটি ঢুকে পড়ে। এতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই একটি লেগুনা দাঁড়িয়ে ছিল। লেগুনার সঙ্গে বাস বা মাইক্রোরবাসের সংঘর্ষ হয়নি।