ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটের মাঝে ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সফল। দেশের মাটিতে বেশ প্রতিষ্ঠিত শক্তিও বটে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে এ দলটাই বড্ড বেশি ছন্নছাড়া, নখদন্তহীন। নিউজিল্যান্ড সফরে আবারও তা প্রমাণ হলো।
ব্যাটিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া, হতশ্রী ফিল্ডিং সিরিজ জুড়ে বয়ে বেড়ালো বাংলাদেশ। ক্যাচ মিস, মিস ফিল্ডিং, রান আউটের সুযোগ নষ্ট করে প্রতি ম্যাচেই নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়েছিল তামিম ইকবালের দল। ওয়েলিংটনেও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বহাল ছিল। নিউজিল্যান্ডের কাছে তৃতীয় ম্যাচে ১৬৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩-০ তে সিরিজ হারের পর ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলেছেন, বিদেশে ধারাবাহিক নয় বাংলাদেশ দল। দেশের বাইরে সফল হওয়ার পথ খুঁজতে হবে।
তামিম বলেছেন, ‘আপনাকে শেখানোর জন্য আপনি পৃথিবীর সেরা কোচকে পেতে পারেন। তবে দিনশেষে খেলোয়াড়দের বুঝতে হবে যে, কখন কি করতে হবে, কি করা যাবে না। সমস্যাটা মূলত বিদেশের মাটিতে। দেশের বাইরে আমরা ধারাবাহিক নই। দলগত বা ব্যক্তিগতভাবে- কোনভাবেই আমরা ধারাবাহিক নই। আমি মনে করি এটাই ইস্যু এবং এখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।’
সিরিজ জুড়েই ফ্লপ মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে বড় রান পাননি, গ্লাভস হাতে ক্যাচ ছেড়ে, রানআউটের সুযোগ নষ্ট করে উল্টো দলকে ডুবিয়েছেন। লিটন, সৌম্যরাও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। নিউজিল্যান্ডের ৩১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে একপর্যায়ে ১০২ রানে ৮ উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরে মাহমুদউল্লাহ ধ্বংসস্তূপে একা লড়ে অপরাজিত ৭৬ রান করে শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে সমর্থ হয়েছেন। ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারিয়েই ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ তামিমের দাবি এমনই।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনি প্রথম ১০ ওভারেই ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলবেন তখন বুঝতে হবে খেলাটা সেখানেই অর্ধেক শেষ। যা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে হতে দেইনি। তৃতীয় ম্যাচে আমরা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেছি।’
ক্যাচ মিস, ব্যাটিংয়ে আরও ধৈর্যশীল না হতে পারার আক্ষেপ ছিল অধিনায়কের কণ্ঠে। তামিম বলেছেন, ‘মাঝেমাঝে ছোট ছোট জিনিস বেশি ব্যথা দেয়। ক্যাচ আর সুযোগ হাতছাড়া, তবে কৃতিত্ব দিতেই হবে নিউজিল্যান্ডকে। পুরো সিরিজ জুড়ে তারা দুর্দান্ত ছিল। এখানে ব্যাট করতে হলে ধৈর্যশীল হতে হয়। আমরা শুরুতেই অনেক লুজ শট খেলেছি।’