নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ জনে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ৩০ জনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের কার্যক্রম বিকেল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে আমরা ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। এর আগে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রম চলছে। সন্ধ্যা ৬টার পর লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওয়ানা দেয়। একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আমাদের উদ্ধারকারীরাই ৫ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।