শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা পরেও অনেক যাত্রী এখনো মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হচ্ছেন। সকালে দুইটি ফেরিতে কয়েক হাজার যাত্রী পার হয়।
এরপর থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ এবং ঘাট ছাড়ার জন্য বলে পুলিশ, প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি। তবুও এলাকায় যাত্রীরা ভিড় করছে পদ্মা পাড়ি দিতে।
পরিস্থিতি সামলাতে রোববার ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু, বিজিবি মোতায়েনের পরও শিমুলিয়া ঘাটে আসছে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী যাত্রীরা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় চাপ কম।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে আবারও ১৭টি ট্রলার জব্দ করেছে নৌপুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। লাশবাহী গাড়িগুলোকে যমুনা সেতু ব্যবহার করার জন্য বলা হচ্ছে। রাতে শুধু পণ্যবাহী যানবাহন পার করা হবে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ হিলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সকালে দুইটি ফেরি শিমুলিয়াঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে দুইটি ফেরি আসে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়াঘাট ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে উপস্থিত যাত্রীদের জানানো হয়েছে ঘাট এলাকা ত্যাগ করার জন্য। ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে দিনে।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপারে এখন সম্পূর্ণ নিষেধ আছে। কিন্তু, যাত্রীরা অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ট্রলারে যাত্রী উঠানোর কারণে শিমুলিয়া ঘাট, কান্দিপাড়া ও মাওয়া মৎস আড়ৎ ও পদ্মানদীর লৌহজং চ্যানেল থেকে ১৭টি ট্রলার জব্দ করা হয়। এসময় ১৬ জন ট্রলার চালকদের আটক করা হয়। যাত্রীদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা ট্রলার নৌপুলিশের হেফাজতে আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।