গত ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত এবারের ঈদযাত্রার তিন দিনে সরকারের এক কোটি ৭৫ লাখ ৩৪২ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
ঈদের আগে তিনদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ঈদে বাড়ি ফেরা নিরুৎসাহিত করতে প্রথম দিকে দিনে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তখন শুধুমাত্র জরুরি সেবার গাড়িগুলো পদ্মা পার করার জন্য দুই-একটি ছোট ফেরি চালু ছিল বলে দাবি বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের। এ অবস্থায় ওই ফেরিগুলোতেই হুড়োহুড়ি করে ভিড় করেন ঘরমুখো যাত্রীরা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে এক ট্রিপে ফেরিগুলোতে দুই-একটির বেশি জরুরি সেবার গাড়ির ঠাঁই হতো না। পরে অবস্থা বুঝে দিনেও ১৬টি ফেরি চালু রাখা হয়। ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও যাত্রীদের জন্য দিনের বেলায় ফেরি চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রতি বছরের মতো এ ঈদেও পাটুরিয়া ফেরি ঘাট হয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বা কোনো গাড়ি ছাড়াই পদ্মা পার হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকও পার হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট সূত্র মতে, ১০ মে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে যানবাহন পার হয়েছে ৩৮৮৫টি। আর এতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২৬ লাখ ৭৪ হাজর ৯৮৪ টাকা, ১১ মে যানবাহন পার হয়েছে ৪২৪২টি। আর সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ টাকা এবং ১২ মে যানবাহন পার হয়েছে ৯২৬৩টি। এতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকা। তবে ১৩ মে’র কোনো হিসাব এখনো দিতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি কতৃর্পক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার যে কত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নাই। যেসব গাড়ি টিকিট কেটে ফেরির পন্টুনে গেছে, ওই সব গাড়ির হিসাব আমাদের কাছে আছে। কিছু গাড়ির চালক হয়তো জানেন না যে টিকিট কোত্থেকে কাটতে হয়, অথবা টিকিট না কেটে নদী পথ পারাপারের অসাধু ধান্দার চালকও আছেন অনেক। গাড়ি ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে অনেক সময় টিকিট চেক করার সম্ভব হয় না।
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাটের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, এক কোটি ৭৫ লাখ ৩৪২ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, ১৩ মে’র হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আগামীকাল এ তথ্য আমাদের হাতে আসবে।