আন্তর্জাতিক

সর্বাত্মক হামলার মধ্যে ইসরাইলকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মধ্যেই দেশটিকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বাইডেন মানবাধিকার রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ডেমোক্র্যাটরা।

সমালোচনা শুরু হয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অব্যাহতভাবে সমর্থন নিয়েও। এর মধ্যেই আবার ইসরাইলকে ব্যাপক অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের বেশকিছু আইনপ্রণেতা। খবর আল জাজিরার।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইসরাইলের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকে জানানো হয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৫ মে)।

গত সপ্তাহ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের তীব্র বিমান হামলা শুরু হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় রোববার ওই অস্ত্রবিক্রির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় বাইডেন প্রশাসন।

এদিনই গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘ইসরাইলের নিজেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।’

ওয়াশিংটনের এই অবস্থানকে এর আগেও মার্কিন কংগ্রেসের বেশির ভাগ আইনপ্রণেতাই সমর্থন করেছে। কিন্তু এই অব্যাহত সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের নতুন প্রজন্মের আইনপ্রণেতারা। এমনকি বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রয় প্রস্তাব ও সময়ের ব্যাপারে আরও জানতে চাইছেন।

সিএনএন তাদের এক বিশ্লেষণে জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করে সামাজিক ও জাতিগত ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেমোক্রেটিক দল ক্ষমতায় এসেছে। তাই এ সময়ে এসে ইসরাইলের পক্ষে কথা বলা এই দলটির জন্য বেশ অস্বস্তিকর।

যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ইতিহাস পালটে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে। লিবারেলরা মনে করেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য বিচারের একই রকম ধারণার প্রয়োগ করা। অনেকেই বর্তমানে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আচরণকে জাতিগত বিদ্বেষ হিসাবে মনে করেন।

টানা আট দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান ও কামান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলায় ৫৮ শিশুসহ ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *