যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। শুক্রবার ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর নিখোঁজের সংখ্যা ৬১ তে নেমে এসেছে।
ভবন ধসের ঘটনার আড়াই সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ফিকে হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মায়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়র ডেনিয়েলা লেভিন কেভা। গত ২৪ জুন প্রথম প্রহরে সার্ফসাইডের ১২ তলা এ সুউচ্চ ভবনটির বিশাল একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় ভবনটির ১৫৬ ইউনিটের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ৪০ বছরের পুরনো ভবনটি কেন ধসে পড়ল, তদন্তকারীরা তা এখনও বের করতে পারেননি।
ভবনটি ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের আকারই দাঁড়ায় ৪ থেকে ৫ তলার সমান। শতাধিক উদ্ধারকর্মীর টানা ১৬ দিনের তৎপরতায় ওই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ভবনটির বেশিরভাগ অংশ ধসে পড়ার পরও একটি অংশ দাঁড়িয়ে ছিল, ওই অংশের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল, পরে সে অংশটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ সরানো ও মৃতদেহ উদ্ধারের কাজে গতি আসে।
লেভিন কেভা জানান, ভবনটির ৯ তলায় বাস করা বিংক্স নামের একটি বিড়ালকে ধসের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর চ্যামপ্লেইন টাওয়ার সাউথের জায়গায় কি হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি পরিবারের আইনজীবীরা ধসে পড়া ভবনের জায়গায় নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।