বিনোদন

স্বর্ণ পাম জিতে ফরাসি নারী নির্মাতার ইতিহাস

বিশাল চমক! কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণ পাম জিতলো ফরাসি নারী নির্মাতা জুলিয়া দুকুরনোর ‘তিতান’। ২৮ বছর পর কোনো নারী পরিচালকের হাতে উঠলো এই সম্মান। পুরস্কারটি তুলে দেন অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন ও এবারের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্রধান আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালক স্পাইক লি।

পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী পর্বের শুরুতে সেরা অভিনেতা বিভাগের পরিবর্তে ভুল করে ‘তিতান’কে স্বর্ণ পাম জয়ী ঘোষণা করেন স্পাইক লি। মুহূর্তেই তিনি নিজের কথা ফিরিয়ে নেন। তবে শেষ পর্যন্ত যে সেটি উত্তেজনা ধরে রাখার জন্য ছিলো তা প্রমাণ হলো ‘তিতান’-এর জয়ে।

কানের ইতিহাসে ১৯৯৩ সালে নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন ‘দ্য পিয়ানো’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার নারী পরিচালক হিসেবে স্বর্ণ পাম জিতেছিলেন। সেই বিরল তালিকায় যুক্ত হলো জুলিয়া দুকুরনোর নাম।

এবার মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণ পামের জন্য মনোনীত হয় ২৪টি ছবি। সেগুলোর মধ্যে ‘তিতান’কে সমালোচকরা বলা যায় গোনাতেই ধরেননি! কিন্তু কানের বিচারকরা প্রতিবারই চমক জাগানিয়া রায় দেন। স্পাইক লি’র নেতৃত্বে বিচারক প্যানেলে ছিলেন চার নারী। ফলে এবার একজন নারী নির্মাতার স্বর্ণ পাম জয়ের আশা দেখেছেন অনেকে।

কিন্তু ইতিহাস কথা বলছিলো না মূল প্রতিযোগিতায় থাকা চার নারী পরিচালকের পক্ষে। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী জুলিয়া দুকুরনো নতুন ইতিহাস রচনা করে ফেললেন। মূল প্রতিযোগিতায় এবার সবচেয়ে কম বয়সী পরিচালক ছিলেন তিনিই।

১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ব্যাপ্তির ‘তিতান’ ছবির গল্প বাবা-ছেলের সম্পর্ককে ঘিরে। ব্যাখ্যাতীত বেশকিছু অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় বাবার। তার এই ছেলে ১০ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলো। চিত্রনাট্য লিখেছেন জুলিয়া দুকুরনো নিজেই। তার আগের ছবি ‘র’ ২০১৬ সালে কানে ফিপ্রেসকি পুরস্কার জিতেছিলো।

গত ৬ জুলাই কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরের পর্দা ওঠে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো সমাপনী আয়োজনের মাস্টার অব সিরিমনিস ফরাসি অভিনেত্রী দোরা তিলিয়ের।

এবারের আয়োজনের অফিসিয়াল পোস্টারে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের সভাপতি স্পাইক লি’কে সম্মান জানানো হয়েছে। ১২ দিনের এই উৎসবকে ঘিরে নতুন সব ছবি ও নানান আয়োজনে মুখর ছিলো দক্ষিণ ফরাসি উপকূলীয় শহর কান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *